মোঃ রাজিব তালুকদারঃ দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কাঠালিয়ার মৃৎ শিল্পীরা। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। এ উপলক্ষে কাঠালিয়ায় ৫৫ টির বেশী মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎ শিল্পীরা। কাশফোটা শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ন রূপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্ততি।প্রতিমা শিল্পীর কল্পনায় দেবী দূর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রুপ দিতে রাতভর চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ইতিমধ্যে প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জর কাজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে উপজেলা হিন্দুপাড়া গুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেজ লক্ষনীয়।উচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহা-স¤িœলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীন পূজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব। আর দূর্গাপূজাকে সমান রেখে কাঠালিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে ৫৫ টির বেশী মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটি ব্যস্ত সময় পার করছে। কোন কোন মন্ডপে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি সাজসজ্জার প্রস্ততি ও চলছে। আগামী ২ অক্টোবর থেকে ৫ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে। স্থানীয় কারিগর ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে কারিগররা এখানে এসে তৈরি করছে মাটির প্রতিমা। প্রতিটি পূজামন্ডপের জন্য তৈরি করা হচ্ছে দূর্গা, লক্ষী,শরস্বতী, কার্তিক,গনেশ,অসুর, সিংহ, মহিষ, পেচা, হাঁস, সর্পসহ প্রায় ১২ টি প্রতিমা। হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গতিনাশীনী দুর্গাদেবীকে বরণ করে নিতে মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ,সাজসজ্জার কাজ চলছে। ঢাক,ঢোল বাদ্যকাররা বাদ্যযন্ত্র ঠিকঠাক করে নিচ্ছে পাশাপাশি প্রতিমা শিল্পীরাও মহাব্যস্ত প্রতিমা তৈরিতে।সেইসাতে ব্যস্ত কারিগররাও।ইতি মধ্যে অনেক মন্ডপে মাটির কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে শিল্পীরা।মূতির্ গড়া শেষে রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রতিমা।দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।হিন্দু সম্প্রদায়ের আবালবৃদ্ধ বনিতা নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ এ সর্ব বৃহৎ শারদীয় উৎসবকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি পূজা মন্ডপে।